মুঠোকাব্য
১.
তুমি আমায় গাধা বল
আরো বল বোকা,
তবুও আমি দেব তোমায়
গোলাপ থোকা-থোকা।
২.
এসএমএস-এ ফুল দিয়েছি
তাই ভরেনি মন,
সামনে এসো তখন দেব
উজার করে বন।
৩.
পরশ পাথরের ছোঁয়ায়
সোনা হয় মাটি,
তোমার স্পর্শে আমি
হব পরিপাটি।
৪.
শালিকটা আজ বেজায় দুষ্ট
শীষ দিচ্ছে জানালায়,
মশ্করাটা করছে ভাল
তুমি কাছে নেই তায়।
৫.
জল, কাঁদা আর ধূলোর মাঝে
করবো লুটোপুটি,
কেমন হবে বল, যখন
বাধব মোরা জুটি?
৬.
হাওয়ার টানে ভেসে চলে
জীবন নামের ভেলা,
তোমায় আমি পারবনাগো
করতে অবহেলা।
৭.
অনেক কথা বলব বলে
জেগেছি সারা রাত,
পাহাড় চূড়ায় চড়তে যে চাই
দেবে তোমার হাত?
৮.
সুখ পাখিটা আসবে বলে
গুনছি বসে দিন,
তুমি ঘরে একলা বসে
বাজাও কিসের বীণ?
৯.
হাসিখুশি সংসার মোদের
নিত্য খুনসুটি,
এত্ত বড় বাড়ির মাঝে
মানুষ মোটে দু'টি।
১০.
খোঁপায় তোমার ফুল দেবগো
হাসনাহেনা চামেলী,
বাসব ভাল, বাঁধব বাসা
হাসবে ও চাঁদ রুপালী।
১১.
তোমার শিয়রে দোয়েল বসে
গাইছে আজি গান,
পাশে যদি থাক তুমি
ভরবে মন প্রাণ।
১২.
তাঁরায় তাঁরায় লিখে দেব
শুধুই তোমার নাম,
ভুল করোনা, ভুল বোঝনা
করনা বদনাম।
১৩.
তোমার কথা ফুরলো নাকি
আমার গানের কলতানে?
মনে পুষে রাখা কথা বলে দাও
নব বারির অবগাহনে।
১৪.
বৃষ্টি পড়ে বনের মাঝে
পাতায় বাজে সুর,
তোমার কথা ভেবে ভেবে
যাচ্ছি বহু দূর।
১৫.
মনের ভেতর সহস্র যাতনা
পুষে রেখনা নিরন্তর,
বন্ধুকে বল আছে ব্যথা যত
উবে যাবে সব ছুঃ মন্তর।
১৬.
ঈষাণ কোনে মেঘ জমেছে
মন ভাল নেই তাই,
মনের বাড়ী যাচ্ছি চলে
তোমার দেখা নাই।
১৭.
তুমি আমার পাশে আছ
ধরে দু'খান হাত,
ভোরের আলোয় দেখব সূর্য
বলব সুপ্রভাত।
১৮.
মান করোনা হাল ছেড়োনা
আসে যত বাধা,
খেলার ছলে ভুলে যাব,
মোরা কৃষ্ঞ-রাধা।
১৯.
নদীর জলে নাও ছুটেছে
ছলাৎ ছলাৎ আওয়াজ তুলে,
ছইয়ের নিচে আমরা দু'জন
রঙ্গ-রূপের জগৎ ভুলে।
২০.
হৃদয়ের খুব কাছাকাছি মোর
যে করে বসবাস,
সে যেন রহে হৃদয় মাঝে,
না করে সর্বনাশ।
২১.
বাতাস বুঝি বলছে কিছু
কানের কাছে এসে,
কেউ কি এলো মোর দুয়ারে
দীন-ভিখারী বেশে?
২২.
যত বেদনা যত যাতনা
আছে মোর অন্তরে,
কেন ভুলে যাই বুঝবেনা সে
করেনি যে আপন মোরে?
২৩.
চোখের জলে লিখে গেলাম
তোমার ইতিকথা,
বন্ধু ভেবে যদি আস
ঘুচবে মনোব্যথা।
২৪.
ফাগুন হাওয়ায় ভেসে আসে
নব বারতা,
কোথা খুঁজে পাইনাকো
তুমি আছ তা।
২৫.
ভালবাসার দুয়ার খোলা
এসো মোর ঘরে,
অভিমানে দূরে গেলে
ভালবেসো মোরে।
২৬.
সুখের প্রদীপ নিবু নিবু
আঁধার আমার ঘরে,
তুমিই ছিলে আলো করে
ভুলব কেমন করে।
২৭.
রঙে রঙে রঙ মেলেনা
সুর মেলেনা সুরে,
বুঝবে কি ছিলাম তোমার,
যখন যাবো দূরে।
২৮.
নতুন আলো নতুন সূর্য
নতুন সুপ্রভাত,
নববর্ষের নব রঙে
এসো রাঙাই হাত।
২৯.
তুমি যখন নীরব থাক
মন আনচান করে,
তোমার কথা শুনতে যে চাই
সকাল-সন্ধ্যা ধরে।
৩০.
নববর্ষে তোমার মন আজ
খারাপ কেন বলো?
নতুন দিনের এ যে সুখের বার্তা
ছড়িয়ে দিই চলো।
৩১.
দোষ না করেও ক্ষমা চেয়েছি
তোমার কাছে আমি,
তবু কেন বল কর এহেন
অদ্ভুত পাগলামী?
৩২.
মেঘের আড়ালে চাঁদের সাথে
জাগছি সারা রাত,
আকাশ থেকে নামবে পরী
বাড়িয়ে দু'খান হাত।
৩৩.
ডাহুক ডাকে গহীন বনে
জ্যোৎস্না ভেজা রাত,
তুমি-আমি এক হয়েছি
কে করে কর্ণপাত?
৩৪.
শহস্র মাইল পাড়ি দিয়ে
তোমার কাছে এসেছি,
স্থান দেবেনা জেনেও আমি
তোমায় ভালবেসেছি।
৩৫.
আমি যতই কাছে টানি
তুমি থাক দূরে,
কেমন করে আমার এ গান
বাঁধব সুরে সুরে?
৩৬.
স্বপ্ন যদি যায় ফুরিয়ে
জীবন থেকে কখনো,
নতুন করে বাঁচার আশায়
স্বপ্ন দেখো তখনো।
৩৭.
দু'হাত বাড়িয়ে ডাকছি তোমায়
সাড়া দেবেনা জানি,
আমার চে' আপন আছে বুঝি কেহ
একথা সত্য মানি।
৩৮.
যখন তোমার কেউ রবেনা
সঙ্গী পথ চলার,
তখন ডেকো আমায় তুমি
পাবে আগে সবার।
৩৯.
তোমার সাথে নেই যে দেখা
বহু বছর ধরে,
তোমার কথা শুনতে আমার
মন যে কেমন করে।
৪০.
স্বর্গ থেকে এলে যদি
কেন চলে গেলে?
নরক ব্যথা ভুলে যাব
কেবল তোমায় পেলে।
৪১.
পাগলী তুমি খেলছ কেন
এমনতর খেলা?
তোমার জন্য রয়েছে মোর
ভালবাসা ম্যালা।
৪২.
সুখ আসে মরিচিকা হয়ে
এমনি তব খেলা,
কোন সে দোষে আমায় নিয়ে
করছ হেলাফেলা?
৪৩.
অধীর হয়ে বসে আছি
আসবে কবে তুমি?
তুমি বিহনে হয়ে আছে যে
বুকটা মরুভূমি।
৪৪.
ফুল-পাখিরা গাইছে আজি
নতুন কোন গান,
তোমার মুখে ফুটেছে হাসি
তাই বুঝি এ কলতান।
৪৫.
জেগে আছি একা, কাটছেনা মোর
অশেষ তিমির রাত্রি,
পাল তুলে দাও, নিয়ে যাও মোরে
আলোক লোকের যাত্রী।
৪৬.
মান-অভিমান ভুলে গিয়ে
এসো সন্ধি করি,
নতুন আলোয় নতুন রঙে
সুখের পৃথিবী গড়ি।
৪৭.
অশ্রু মুছে বাইরে এসো
বন্ধ ঘরের দুয়ার খুলে,
তোমায় আজি যাব নিয়ে
মেঘলোকেরও ঊর্ধ্বে তুলে।
৪৮.
অন্য কারো হয়ে যদি
থাকো তুমি সুখে,
দাঁড়াবোনা জেনো আমি
তোমার সে পথ রুখে।
৪৯.
কথার পিঠে কথা সাজিয়ে
যাচ্ছি প্রতিদিন,
জানিনাতো তোমার মনে
বাঁজবে কবে বীণ।
৫০.
দূরে চলে যাবেই যদি
বাসলে কেন ভাল?
কেন হয়ে ছিলে গো মোর
আঁধার ঘরে আলো?
৫১.
কদম ফুলে গাছ ছেয়েছে
বর্ষা-রাণী আসবে বলে,
পাগলী তোমার শুনব কথা
জোনাক জ্বলা রাত্রী এলে।
৫২.
বৃষ্টি-ফোঁটা ভাঙছে দেখ
গাছের পাতায় শব্দ করে,
দুঃখটাকে রুখব এসো
হাসি ঘেরা বদ্ধ ঘরে।
৫৩.
যেদিন তোমার ফুরাবে সকল
আমার তরে প্রয়োজন,
ছুঁড়ে ফেলে দিওনা আমায়,
রেখো করে আপনজন।
৫৪.
খোলা হাওয়ায় মেঘের মতো
উড়ছে তোমার চুল,
বকুল ফুলের মালা দিতে
করবোনা আজ ভুল।
৫৫.
পাগলী তোমার সকল কথা
শুনব বসে নিরালায়,
জানোনা কি আমরা এখন
মেতে আছি কোন খেলায়?
৫৬.
মনের জোরে কত আমি
সয়ে যাব যাতনা?
ভালবাসা পেতে অনেক
করেছি যে সাধনা।
৫৭.
যখন আমি যাব হারিয়ে
দূর তাঁরাদের মাঝে,
ক্ষমা করে দিও আমায়
ভুলনা হাজারো কাজে।
৫৮.
থেমে যাবে জানি আমি
তোমার সকল পাগলামী,
যখন সাথে রব তোমার,
হব খেলার সাথী আমি।
৫৯.
দূরে ঠেলে দিচ্ছ আমায়
অবলিলায় হাসিমুখে,
বুঝেও কি বোঝনা তুমি
আমি কিগো থাকব সুখে?
৬০.
পাগলামোটা যতই কর
ততই লাগে ভালো,
তোমার হাসি অবাক করা
মুক্তা দানার আলো।
৬১.
চলে গেছ দূরে, দূরে বহু দূরে
ভাসালেনা তোমার ভেলা।
ফিরিবেনা তুমি, জানি আমি জানি
বৃথা এ পুতুল খেলা।
৬২.
মনের কথা রইল মনে
বলা হলনা,
কে জানত যাবে চলে
করে ছলনা?
৬৩.
ছায়া হয়ে আমার পাশে
থেকো সারাক্ষণ,
তোমায় ছাড়া শূন্য সবই
শূন্য এ জীবন।
৬৪.
ভালবাসার ছোট্ট কুটির
গড়ছি আমার মনের ভিতর,
তুমি এসো ফাগুন রাতে
জোনাক-জ্বলা চাঁদনী-পসর।
৬৫.
তাঁরার আলোয় পথ চলেছি
হারিয়ে না যাই,
যদি তুমি থাকো পাশে
নাই কোন ভয় নাই।
৬৬.
তুমি যাবে নতুন পথে
জীবনের এক নতুন রথে,
আমি রব পথেই পড়ে
তোমার স্মৃতি বুকে ধরে।
৬৭.
তোমার সকল দুঃখ ঘুচবে
যেদিন বাঁজবে বীণ,
আমার এ প্রাণ সপে দেব
সুধব তোমার ঋণ।
৬৮.
বিষের বাঁশি উঠছে বেঁজে
বুকে বিঁধছে তীর,
মন নেই তো আগের মতন
চিড় ধরেছে চিড়।
৬৯.
স্বপ্ন-পরী স্বপ্ন দেখাও
সোনার কাঠির ছোঁয়ায়,
দিনের আলোয় যায় মিলিয়ে
এক নিমেষে হাওয়ায়।
৭০.
তোমায় আমি বাসব ভাল
দিনে এবং রাতে,
আমায় ছেড়ে যাবেনা কভু
হাত রেখে বল হাতে।
৭১.
সারাটা রাত শুনব বসে
তোমার কবিতা পড়া,
গল্প-কাব্যের আনন্দ-জলে
মোদের ভালবাসা গড়া।
৭২.
দিবা-নিশির সাধনাতে
কষ্ট করি ক্রয়,
অবুঝ আমি, বোকা আমি
সেতো আমার নয়।
৭৩.
লাভ-ক্ষতির হিসেব কষতে
শিখেছ এখন তুমি,
যাকে দিয়ে হবে লাভ তোমার
তাকে টেনে নাও চুমি।
৭৪.
তুমি আমায় ডাকলেনাতো
বললেনা কথা অভিমানে,
আমায় কিগো পর করেছ
ভালবাসার প্রতিদানে?
৭৫.
তোমায় আমি ভালবাসি
বলতে পারি নাকো,
তুমি কেন বলছনাগো
যদি বুঝে থাকো?
৭৬.
তুমি কাছে আসবেনাতো
ডাকবেনা হাত বাড়িয়ে,
তোমায় ছুঁ'তে পারবনা কি
সীমানাটা ছাড়িয়ে?
৭৭.
তুমি আমার কাছে এলে
বিশটি বছর পরে,
জাননাতো ছিলে তুমি
আমার এ অন্তরে।
৭৮.
কোথায় তুমি সুখ খুঁজিছ
বন্ধ ঘরের অন্ধকারে?
যে পথ তোমার গেছে চলে
এগিয়ে এসো সে পথ ধরে।
৭৯.
পথ-হারা পাখির মতন
কাঁদছ কেন ঠায় বসে?
জগৎটাকে দেখবে এসো
দু'চোখ মেলে মুক্ত-শ্বাসে।
৮০.
তুমি আমায় ডাকছো কাছে
বিপদ হলো বলে?
কখন জানি বলবে- 'চলি',
ভরবে দু'চোখ জলে।
৮১.
আজকে তুমি নতুন পথে
যাত্রা করেছ শুরু,
সঙ্কটে যেন কাঁপেনা কভু
বুকটা দুরু দুরু।
৮২.
তুমি আমায় পাশে পাবে
পড়বে যখন মনে,
নতুন পথের যাত্রী হবো
হাঁটব তোমার সনে।
৮৩.
যাকেই আমি কাছে টানি
সে চলে যায় দূরে,
অভিশপ্ত জীবন আমার
যায়না কেন পুড়ে?
৮৪.
সবাই যদি দূরে ঠেলে দেয়
এগিয়ে যাবো তবু,
ভেবে নেব গেছে যে চলে
ছিলনা আমার কভু।
৮৫.
তোমার কাছে আছে অনেক
সুখের উপকরণ,
এখন কি আর পড়বে মনে
আমায় যখন তখন?
৮৬.
পাগলী তুমি থেক সুখে
দুঃখটাকে দিয়ে রুখে,
আমায় পাবে সঙ্গে তোমার
ঘনিয়ে যখন আসবে আঁধার।
৮৭.
অনেক ব্যস্ত কর্মী তুমি
পাওনা সময় খুঁজে,
আমায় তুমি ডাকবেনা আর
গেছি আমি বুঝে।
৮৮.
কথা বলে লাভ কি বল,
ভুলেই যখন গেছ?
আমায় নিয়ে কেনই তুমি
খেলা খেলতেছ?
৮৯.
মনে যদি পড়ে তোমার
বিষণ্ণ কোন বিকেলে,
হাত বাড়িয়ে ডাকবে আমায়
দ্বিধার পাথর ছুঁড়ে ফেলে?
৯০.
তোমায় আমি চাইনা পেতে
চাইনা হতে তোমার,
দু'জনার পথ এক হলনা,
যাচ্ছে সরে আবার।
৯১.
স্বপ্ন-লোকের জাল বুনেছি
হরেক রঙের ছোঁয়ায়,
আমার ভূবন একলা আমার
চাঁদের আলো ধোয়ায়।
৯২.
রঙিন কাঁচের চশমা চোখে
স্বপ্ন দেখিনা আর,
কেমন করে দেখবো বলো,
মন ভেঙ্গেছে যার?
৯৩.
চোখের জলে নতুন করে
লিখবনা আর কাব্য,
হেলাফেলায় কাটবে যে দিন
আছে যা ভবিতব্য।
৯৪.
ঘড়ির কাঁটা চলেছে ছুটে
সময়টাকে তাঁড়িয়ে,
পাগলী তুমি কালের স্রোতে
যেওনা কভু হারিয়ে।
৯৫.
আমায় তোমার ভুলে যেতে
কে করেছে মানা?
ভুলতে আমায় পারবেনা যে
আছে আমার জানা।
৯৬.
স্বপ্ন যত আছে তোমার
পূর্ণ হবে তখনি,
ভালবেসে কাছে টানতে
শিখবে তুমি যখনি।
৯৭.
দু'নয়নে দেখেছিলাম
তোমার মুখচ্ছবি,
মুঠোকাব্য লিখে যাচ্ছি
নাইবা হলাম কবি।
৯৮.
বাতাস জানে তোমায় আমি
ডেকেছি কতকাল,
জানোনা কত ভেঙেছি আমি
দ্বিধার ছড়ানো জাল।
৯৯.
নতুন দিনের পাল উড়িয়ে
বিশ্ব করেছি জয়,
সবচে' আপন জানে যে আমায়
সেতো পাগলী নয়।
১০০.
স্বপ্ন যত আছে আমার
থাকনা আমার মনের মাঝে,
ডুবে আমি যাব এখন
দেশ গড়ার শত কাজে।
তুমি আমায় গাধা বল
আরো বল বোকা,
তবুও আমি দেব তোমায়
গোলাপ থোকা-থোকা।
২.
এসএমএস-এ ফুল দিয়েছি
তাই ভরেনি মন,
সামনে এসো তখন দেব
উজার করে বন।
৩.
পরশ পাথরের ছোঁয়ায়
সোনা হয় মাটি,
তোমার স্পর্শে আমি
হব পরিপাটি।
৪.
শালিকটা আজ বেজায় দুষ্ট
শীষ দিচ্ছে জানালায়,
মশ্করাটা করছে ভাল
তুমি কাছে নেই তায়।
৫.
জল, কাঁদা আর ধূলোর মাঝে
করবো লুটোপুটি,
কেমন হবে বল, যখন
বাধব মোরা জুটি?
৬.
হাওয়ার টানে ভেসে চলে
জীবন নামের ভেলা,
তোমায় আমি পারবনাগো
করতে অবহেলা।
৭.
অনেক কথা বলব বলে
জেগেছি সারা রাত,
পাহাড় চূড়ায় চড়তে যে চাই
দেবে তোমার হাত?
৮.
সুখ পাখিটা আসবে বলে
গুনছি বসে দিন,
তুমি ঘরে একলা বসে
বাজাও কিসের বীণ?
৯.
হাসিখুশি সংসার মোদের
নিত্য খুনসুটি,
এত্ত বড় বাড়ির মাঝে
মানুষ মোটে দু'টি।
১০.
খোঁপায় তোমার ফুল দেবগো
হাসনাহেনা চামেলী,
বাসব ভাল, বাঁধব বাসা
হাসবে ও চাঁদ রুপালী।
১১.
তোমার শিয়রে দোয়েল বসে
গাইছে আজি গান,
পাশে যদি থাক তুমি
ভরবে মন প্রাণ।
১২.
তাঁরায় তাঁরায় লিখে দেব
শুধুই তোমার নাম,
ভুল করোনা, ভুল বোঝনা
করনা বদনাম।
১৩.
তোমার কথা ফুরলো নাকি
আমার গানের কলতানে?
মনে পুষে রাখা কথা বলে দাও
নব বারির অবগাহনে।
১৪.
বৃষ্টি পড়ে বনের মাঝে
পাতায় বাজে সুর,
তোমার কথা ভেবে ভেবে
যাচ্ছি বহু দূর।
১৫.
মনের ভেতর সহস্র যাতনা
পুষে রেখনা নিরন্তর,
বন্ধুকে বল আছে ব্যথা যত
উবে যাবে সব ছুঃ মন্তর।
১৬.
ঈষাণ কোনে মেঘ জমেছে
মন ভাল নেই তাই,
মনের বাড়ী যাচ্ছি চলে
তোমার দেখা নাই।
১৭.
তুমি আমার পাশে আছ
ধরে দু'খান হাত,
ভোরের আলোয় দেখব সূর্য
বলব সুপ্রভাত।
১৮.
মান করোনা হাল ছেড়োনা
আসে যত বাধা,
খেলার ছলে ভুলে যাব,
মোরা কৃষ্ঞ-রাধা।
১৯.
নদীর জলে নাও ছুটেছে
ছলাৎ ছলাৎ আওয়াজ তুলে,
ছইয়ের নিচে আমরা দু'জন
রঙ্গ-রূপের জগৎ ভুলে।
২০.
হৃদয়ের খুব কাছাকাছি মোর
যে করে বসবাস,
সে যেন রহে হৃদয় মাঝে,
না করে সর্বনাশ।
২১.
বাতাস বুঝি বলছে কিছু
কানের কাছে এসে,
কেউ কি এলো মোর দুয়ারে
দীন-ভিখারী বেশে?
২২.
যত বেদনা যত যাতনা
আছে মোর অন্তরে,
কেন ভুলে যাই বুঝবেনা সে
করেনি যে আপন মোরে?
২৩.
চোখের জলে লিখে গেলাম
তোমার ইতিকথা,
বন্ধু ভেবে যদি আস
ঘুচবে মনোব্যথা।
২৪.
ফাগুন হাওয়ায় ভেসে আসে
নব বারতা,
কোথা খুঁজে পাইনাকো
তুমি আছ তা।
২৫.
ভালবাসার দুয়ার খোলা
এসো মোর ঘরে,
অভিমানে দূরে গেলে
ভালবেসো মোরে।
২৬.
সুখের প্রদীপ নিবু নিবু
আঁধার আমার ঘরে,
তুমিই ছিলে আলো করে
ভুলব কেমন করে।
২৭.
রঙে রঙে রঙ মেলেনা
সুর মেলেনা সুরে,
বুঝবে কি ছিলাম তোমার,
যখন যাবো দূরে।
২৮.
নতুন আলো নতুন সূর্য
নতুন সুপ্রভাত,
নববর্ষের নব রঙে
এসো রাঙাই হাত।
২৯.
তুমি যখন নীরব থাক
মন আনচান করে,
তোমার কথা শুনতে যে চাই
সকাল-সন্ধ্যা ধরে।
৩০.
নববর্ষে তোমার মন আজ
খারাপ কেন বলো?
নতুন দিনের এ যে সুখের বার্তা
ছড়িয়ে দিই চলো।
৩১.
দোষ না করেও ক্ষমা চেয়েছি
তোমার কাছে আমি,
তবু কেন বল কর এহেন
অদ্ভুত পাগলামী?
৩২.
মেঘের আড়ালে চাঁদের সাথে
জাগছি সারা রাত,
আকাশ থেকে নামবে পরী
বাড়িয়ে দু'খান হাত।
৩৩.
ডাহুক ডাকে গহীন বনে
জ্যোৎস্না ভেজা রাত,
তুমি-আমি এক হয়েছি
কে করে কর্ণপাত?
৩৪.
শহস্র মাইল পাড়ি দিয়ে
তোমার কাছে এসেছি,
স্থান দেবেনা জেনেও আমি
তোমায় ভালবেসেছি।
৩৫.
আমি যতই কাছে টানি
তুমি থাক দূরে,
কেমন করে আমার এ গান
বাঁধব সুরে সুরে?
৩৬.
স্বপ্ন যদি যায় ফুরিয়ে
জীবন থেকে কখনো,
নতুন করে বাঁচার আশায়
স্বপ্ন দেখো তখনো।
৩৭.
দু'হাত বাড়িয়ে ডাকছি তোমায়
সাড়া দেবেনা জানি,
আমার চে' আপন আছে বুঝি কেহ
একথা সত্য মানি।
৩৮.
যখন তোমার কেউ রবেনা
সঙ্গী পথ চলার,
তখন ডেকো আমায় তুমি
পাবে আগে সবার।
৩৯.
তোমার সাথে নেই যে দেখা
বহু বছর ধরে,
তোমার কথা শুনতে আমার
মন যে কেমন করে।
৪০.
স্বর্গ থেকে এলে যদি
কেন চলে গেলে?
নরক ব্যথা ভুলে যাব
কেবল তোমায় পেলে।
৪১.
পাগলী তুমি খেলছ কেন
এমনতর খেলা?
তোমার জন্য রয়েছে মোর
ভালবাসা ম্যালা।
৪২.
সুখ আসে মরিচিকা হয়ে
এমনি তব খেলা,
কোন সে দোষে আমায় নিয়ে
করছ হেলাফেলা?
৪৩.
অধীর হয়ে বসে আছি
আসবে কবে তুমি?
তুমি বিহনে হয়ে আছে যে
বুকটা মরুভূমি।
৪৪.
ফুল-পাখিরা গাইছে আজি
নতুন কোন গান,
তোমার মুখে ফুটেছে হাসি
তাই বুঝি এ কলতান।
৪৫.
জেগে আছি একা, কাটছেনা মোর
অশেষ তিমির রাত্রি,
পাল তুলে দাও, নিয়ে যাও মোরে
আলোক লোকের যাত্রী।
৪৬.
মান-অভিমান ভুলে গিয়ে
এসো সন্ধি করি,
নতুন আলোয় নতুন রঙে
সুখের পৃথিবী গড়ি।
৪৭.
অশ্রু মুছে বাইরে এসো
বন্ধ ঘরের দুয়ার খুলে,
তোমায় আজি যাব নিয়ে
মেঘলোকেরও ঊর্ধ্বে তুলে।
৪৮.
অন্য কারো হয়ে যদি
থাকো তুমি সুখে,
দাঁড়াবোনা জেনো আমি
তোমার সে পথ রুখে।
৪৯.
কথার পিঠে কথা সাজিয়ে
যাচ্ছি প্রতিদিন,
জানিনাতো তোমার মনে
বাঁজবে কবে বীণ।
৫০.
দূরে চলে যাবেই যদি
বাসলে কেন ভাল?
কেন হয়ে ছিলে গো মোর
আঁধার ঘরে আলো?
৫১.
কদম ফুলে গাছ ছেয়েছে
বর্ষা-রাণী আসবে বলে,
পাগলী তোমার শুনব কথা
জোনাক জ্বলা রাত্রী এলে।
৫২.
বৃষ্টি-ফোঁটা ভাঙছে দেখ
গাছের পাতায় শব্দ করে,
দুঃখটাকে রুখব এসো
হাসি ঘেরা বদ্ধ ঘরে।
৫৩.
যেদিন তোমার ফুরাবে সকল
আমার তরে প্রয়োজন,
ছুঁড়ে ফেলে দিওনা আমায়,
রেখো করে আপনজন।
৫৪.
খোলা হাওয়ায় মেঘের মতো
উড়ছে তোমার চুল,
বকুল ফুলের মালা দিতে
করবোনা আজ ভুল।
৫৫.
পাগলী তোমার সকল কথা
শুনব বসে নিরালায়,
জানোনা কি আমরা এখন
মেতে আছি কোন খেলায়?
৫৬.
মনের জোরে কত আমি
সয়ে যাব যাতনা?
ভালবাসা পেতে অনেক
করেছি যে সাধনা।
৫৭.
যখন আমি যাব হারিয়ে
দূর তাঁরাদের মাঝে,
ক্ষমা করে দিও আমায়
ভুলনা হাজারো কাজে।
৫৮.
থেমে যাবে জানি আমি
তোমার সকল পাগলামী,
যখন সাথে রব তোমার,
হব খেলার সাথী আমি।
৫৯.
দূরে ঠেলে দিচ্ছ আমায়
অবলিলায় হাসিমুখে,
বুঝেও কি বোঝনা তুমি
আমি কিগো থাকব সুখে?
৬০.
পাগলামোটা যতই কর
ততই লাগে ভালো,
তোমার হাসি অবাক করা
মুক্তা দানার আলো।
৬১.
চলে গেছ দূরে, দূরে বহু দূরে
ভাসালেনা তোমার ভেলা।
ফিরিবেনা তুমি, জানি আমি জানি
বৃথা এ পুতুল খেলা।
৬২.
মনের কথা রইল মনে
বলা হলনা,
কে জানত যাবে চলে
করে ছলনা?
৬৩.
ছায়া হয়ে আমার পাশে
থেকো সারাক্ষণ,
তোমায় ছাড়া শূন্য সবই
শূন্য এ জীবন।
৬৪.
ভালবাসার ছোট্ট কুটির
গড়ছি আমার মনের ভিতর,
তুমি এসো ফাগুন রাতে
জোনাক-জ্বলা চাঁদনী-পসর।
৬৫.
তাঁরার আলোয় পথ চলেছি
হারিয়ে না যাই,
যদি তুমি থাকো পাশে
নাই কোন ভয় নাই।
৬৬.
তুমি যাবে নতুন পথে
জীবনের এক নতুন রথে,
আমি রব পথেই পড়ে
তোমার স্মৃতি বুকে ধরে।
৬৭.
তোমার সকল দুঃখ ঘুচবে
যেদিন বাঁজবে বীণ,
আমার এ প্রাণ সপে দেব
সুধব তোমার ঋণ।
৬৮.
বিষের বাঁশি উঠছে বেঁজে
বুকে বিঁধছে তীর,
মন নেই তো আগের মতন
চিড় ধরেছে চিড়।
৬৯.
স্বপ্ন-পরী স্বপ্ন দেখাও
সোনার কাঠির ছোঁয়ায়,
দিনের আলোয় যায় মিলিয়ে
এক নিমেষে হাওয়ায়।
৭০.
তোমায় আমি বাসব ভাল
দিনে এবং রাতে,
আমায় ছেড়ে যাবেনা কভু
হাত রেখে বল হাতে।
৭১.
সারাটা রাত শুনব বসে
তোমার কবিতা পড়া,
গল্প-কাব্যের আনন্দ-জলে
মোদের ভালবাসা গড়া।
৭২.
দিবা-নিশির সাধনাতে
কষ্ট করি ক্রয়,
অবুঝ আমি, বোকা আমি
সেতো আমার নয়।
৭৩.
লাভ-ক্ষতির হিসেব কষতে
শিখেছ এখন তুমি,
যাকে দিয়ে হবে লাভ তোমার
তাকে টেনে নাও চুমি।
৭৪.
তুমি আমায় ডাকলেনাতো
বললেনা কথা অভিমানে,
আমায় কিগো পর করেছ
ভালবাসার প্রতিদানে?
৭৫.
তোমায় আমি ভালবাসি
বলতে পারি নাকো,
তুমি কেন বলছনাগো
যদি বুঝে থাকো?
৭৬.
তুমি কাছে আসবেনাতো
ডাকবেনা হাত বাড়িয়ে,
তোমায় ছুঁ'তে পারবনা কি
সীমানাটা ছাড়িয়ে?
৭৭.
তুমি আমার কাছে এলে
বিশটি বছর পরে,
জাননাতো ছিলে তুমি
আমার এ অন্তরে।
৭৮.
কোথায় তুমি সুখ খুঁজিছ
বন্ধ ঘরের অন্ধকারে?
যে পথ তোমার গেছে চলে
এগিয়ে এসো সে পথ ধরে।
৭৯.
পথ-হারা পাখির মতন
কাঁদছ কেন ঠায় বসে?
জগৎটাকে দেখবে এসো
দু'চোখ মেলে মুক্ত-শ্বাসে।
৮০.
তুমি আমায় ডাকছো কাছে
বিপদ হলো বলে?
কখন জানি বলবে- 'চলি',
ভরবে দু'চোখ জলে।
৮১.
আজকে তুমি নতুন পথে
যাত্রা করেছ শুরু,
সঙ্কটে যেন কাঁপেনা কভু
বুকটা দুরু দুরু।
৮২.
তুমি আমায় পাশে পাবে
পড়বে যখন মনে,
নতুন পথের যাত্রী হবো
হাঁটব তোমার সনে।
৮৩.
যাকেই আমি কাছে টানি
সে চলে যায় দূরে,
অভিশপ্ত জীবন আমার
যায়না কেন পুড়ে?
৮৪.
সবাই যদি দূরে ঠেলে দেয়
এগিয়ে যাবো তবু,
ভেবে নেব গেছে যে চলে
ছিলনা আমার কভু।
৮৫.
তোমার কাছে আছে অনেক
সুখের উপকরণ,
এখন কি আর পড়বে মনে
আমায় যখন তখন?
৮৬.
পাগলী তুমি থেক সুখে
দুঃখটাকে দিয়ে রুখে,
আমায় পাবে সঙ্গে তোমার
ঘনিয়ে যখন আসবে আঁধার।
৮৭.
অনেক ব্যস্ত কর্মী তুমি
পাওনা সময় খুঁজে,
আমায় তুমি ডাকবেনা আর
গেছি আমি বুঝে।
৮৮.
কথা বলে লাভ কি বল,
ভুলেই যখন গেছ?
আমায় নিয়ে কেনই তুমি
খেলা খেলতেছ?
৮৯.
মনে যদি পড়ে তোমার
বিষণ্ণ কোন বিকেলে,
হাত বাড়িয়ে ডাকবে আমায়
দ্বিধার পাথর ছুঁড়ে ফেলে?
৯০.
তোমায় আমি চাইনা পেতে
চাইনা হতে তোমার,
দু'জনার পথ এক হলনা,
যাচ্ছে সরে আবার।
৯১.
স্বপ্ন-লোকের জাল বুনেছি
হরেক রঙের ছোঁয়ায়,
আমার ভূবন একলা আমার
চাঁদের আলো ধোয়ায়।
৯২.
রঙিন কাঁচের চশমা চোখে
স্বপ্ন দেখিনা আর,
কেমন করে দেখবো বলো,
মন ভেঙ্গেছে যার?
৯৩.
চোখের জলে নতুন করে
লিখবনা আর কাব্য,
হেলাফেলায় কাটবে যে দিন
আছে যা ভবিতব্য।
৯৪.
ঘড়ির কাঁটা চলেছে ছুটে
সময়টাকে তাঁড়িয়ে,
পাগলী তুমি কালের স্রোতে
যেওনা কভু হারিয়ে।
৯৫.
আমায় তোমার ভুলে যেতে
কে করেছে মানা?
ভুলতে আমায় পারবেনা যে
আছে আমার জানা।
৯৬.
স্বপ্ন যত আছে তোমার
পূর্ণ হবে তখনি,
ভালবেসে কাছে টানতে
শিখবে তুমি যখনি।
৯৭.
দু'নয়নে দেখেছিলাম
তোমার মুখচ্ছবি,
মুঠোকাব্য লিখে যাচ্ছি
নাইবা হলাম কবি।
৯৮.
বাতাস জানে তোমায় আমি
ডেকেছি কতকাল,
জানোনা কত ভেঙেছি আমি
দ্বিধার ছড়ানো জাল।
৯৯.
নতুন দিনের পাল উড়িয়ে
বিশ্ব করেছি জয়,
সবচে' আপন জানে যে আমায়
সেতো পাগলী নয়।
১০০.
স্বপ্ন যত আছে আমার
থাকনা আমার মনের মাঝে,
ডুবে আমি যাব এখন
দেশ গড়ার শত কাজে।